প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৫ (বুধবার)
‘বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট পর্যটনের অপার সম্ভাবনা’

ছবি: সংগৃহীত।

আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে। পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে দেওয়াই দিবসটির উদ্দেশ্য। এ বছর জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ঘোষিত প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’।

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে যেমন রয়েছে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, নদী ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের সমাহার, তেমনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট প্রকৃতি ও সংস্কৃতির অনন্য মেলবন্ধন। সবুজ টিলা, পাহাড়, চা-বাগান, হাওর-বাওর, রাতারগুলের জলাবন, জাফলং, লালাখাল ও মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অনন্য আকর্ষণ। পাশাপাশি হযরত শাহজালাল (রাহ.) ও শাহপরান (রাহ.)-এর দরগাহ, জৈন্তার প্রাচীন নিদর্শন, জমিদার বাড়ি ও বিভিন্ন তীর্থস্থান সিলেটকে দিয়েছে ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি।

সিলেট শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই নয়, গান, নৃত্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতিরও এক বিশাল ভাণ্ডার। হাছন রাজা, রাধারমন, বাউল সম্রাট আবদুল করিমসহ অসংখ্য লোকসংগীতশিল্পীর অবদান এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে। মণিপুরী ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের নৃত্য, পোশাক ও জীবনযাত্রাও সিলেটের পর্যটনে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

তবে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পরিকল্পনার অভাব, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পর্যাপ্ত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ঘাটতির কারণে সিলেটের পর্যটন শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সঠিক উদ্যোগ নিলে এ খাত স্থানীয় উদ্যোক্তাদের লাভবান করার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।