ছবি: সংগৃহীত।
স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা ও ছেলে-মেয়ের পাঠানো টাকা বা উপহার এত দিন করমুক্ত ছিল। চলতি অর্থবছর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন উদ্যোগে আপন ভাই-বোনকেও এর আওতায় এনেছে। ফলে এখন থেকে স্বজনদের মধ্যে দান বা উপহার করলে তা করমুক্ত থাকবে।
অর্থাৎ, যদি একজন ভাই তাঁর সহোদরকে টাকা দেন, তা আয়কর রিটার্নে দেখালেও কর দিতে হবে না। একইভাবে উপহারদাতাকেও রিটার্নে এ তথ্য উল্লেখ করতে হবে। কেবল নগদ টাকা নয়, জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি দান বা উপহার দিলেও কর ছাড় মিলবে।
আগে স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ছাড়া অন্য কারও দেওয়া সম্পদ বা অর্থ দান-উপহার হিসেবে দেখালে কর দিতে হতো। তবে এবার থেকে আপন ভাই-বোনকে পাঠানো অর্থ বা সম্পদ করমুক্ত রাখা হয়েছে। এটি এ বছর থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
বিশেষ করে প্রবাসীরা প্রায়ই ভাই-বোনকে টাকা বা দামি উপহার পাঠান। রেমিট্যান্স করমুক্ত হলেও এত দিন বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। এখন দান-উপহার নীতিতে তা পরিষ্কার হলো। তবে মনে রাখতে হবে, পাঁচ লাখ টাকার বেশি যেকোনো লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে।
অন্যদিকে, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কারও কাছ থেকে টাকা বা উপহার পেলে তা করযোগ্য হবে। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া গয়না, জমি বা ফ্ল্যাটের মতো সম্পদও আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। কর কর্মকর্তারা প্রয়োজনে এসব সম্পদের উৎস সম্পর্কে উভয় পক্ষকেই প্রশ্ন করতে পারবেন।
কর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, অনেক সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া সম্পদ কর নথিতে উপহার হিসেবে দেখানো হয়, অথচ দাতার রিটার্নে তার কোনো উল্লেখ থাকে না। এতে অবৈধ অর্থকে বৈধ করার চেষ্টা হতে পারে। এ কারণেই কারা দান করলে করমুক্তি মিলবে আর কারা দিলে মিলবে না, তা এবার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছে এনবিআর।