ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ, তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বুধবার ত্রিপুরা রাজ্যের কারেঙ্গিছড়া এলাকায় একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা গরুচোর সন্দেহে তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে প্রহার করে হত্যা করে। এ ঘটনাকে বাংলাদেশ সরকার ‘জঘন্য ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে জানায়, এটি মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন।
নিহত তিনজন হলেন- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পণ্ডিত মিয়া (৪০), সজল মিয়া (২৫) ও জুয়েল মিয়া (৩৫)। তাঁরা পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিজিবি যোগাযোগ করে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশ নিহতদের মরদেহ চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরে হস্তান্তর করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের কাছে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয়তা নির্বিশেষে যে কেউ অসাবধানবশত সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেন, তবে সে অবস্থায় তাঁর মানবাধিকারের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রত্যেক রাষ্ট্রের দায়িত্ব।