ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলতে গিয়ে জয় তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০০ ওভার শেষে খেলা সমান হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইড দেন আকিল হোসেইন। এরপর সৌম্য সরকার ২ রান নেন, তবে তা নো ডেকে গণনা হয়নি।
সাইফ হাসান প্রথম বল মিস করার পর তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন। শেষ পর্যন্ত ৯ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ, তবে লক্ষ্য ছিল ১১। শেষ বলে মাত্র ১ রান আসায় বাংলাদেশ হারল।
প্রধান ম্যাচের শেষ ওভারে বাংলাদেশের বোলিংয়ে সাইফ হাসান ছিলেন হিরো। শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। সাইফ দুই ডট বল দিয়ে পরিস্থিতি বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসেন।
পরবর্তী দুই বল থেকে দুই সিঙ্গেল দেন এবং শেষ দুই বলে এক উইকেট ও এক রান নিয়ন্ত্রণে রাখেন। শেষ বলে হোপ ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন, ক্যাচ নিতে পারেননি কিপার নুরুল হাসান সোহান। দুই রান নিয়ে ম্যাচটি টাই হয়।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক রোমাঞ্চকর ইনিংস খেলে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেই হোপ। প্রথম ম্যাচের নায়ক রিশাদ হোসেন দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন। ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। দলের ইনিংসকে কক্ষপথে ফিরিয়ে আনেন নুরুল হাসান সোহান (২৩ বলে ২৩) ও রিশাদ হোসেন (৩৯ বলে ৩৯)। বোলিংয়ে রিশাদ হোসেন ৩ উইকেট নিয়ে সেরা পারফর্মার থাকেন, নাসুম আহমেদ ও তানভীর ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে শেই হোপ ৬৭ বলে ৫৩ রান করেন। তিনি জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয় আশা তৈরি করেছিলেন। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের এক অবিশ্বাস্য থ্রো ও সাইফ হাসানের সুপার ওভারে বোলিং বাংলাদেশকে জয়ের মুখ দেখাতে পারেনি।
ফলাফল- বাংলাদেশ ৯ রানে হেরে যায় সুপার ওভারে, তবে দলের এই ম্যাচটি ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম টাই এবং রোমাঞ্চকর খেলার স্মৃতি হয়ে থাকবে।