ছবি: সংগৃহীত।
ঢালিউড অভিনেতা সালমান শাহের অকালমৃত্যুর রহস্য দীর্ঘ ২৯ বছর পর নতুন মোড় নেয়া হত্যা মামলার আকার নিয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কাটনস্থ বাসায় শ্যালকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। দীর্ঘদিন সালমান শাহের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে জানালায় হলেও সোমবার (২০ অক্টোবর) আদালত ঘটনাটিকে হত্যা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওই মামলায় ১১ জনকে আসামি করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং রমনা থানা পুলিশ ইমিগ্রেশনকে এ বিষয়ে চিঠি প্রেরণ করেছে।
সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী লন্ডন থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, “বহু বছর ধরে তার মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা নয়- ‘খুনের চিহ্ন আর আত্মহত্যার চিহ্ন আলাদা। সেটি তার শরীরেও ছিল। এটি খুন, বোঝাই যাচ্ছিল। প্রমাণও ছিল।’
তিনি দাবি করেন, ১৯৯৭ সালের রেজভীর দেওয়া জবানবন্দি ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত হত্যার কথাই ইঙ্গিত করেছে।
নীলা চৌধুরী জানান, সালমানের হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত; ‘সামিরা চিটাগং থেকে লোক এনেছে’- যারা মিলেমিশে তার ছেলে ইমনকে (সালমান শাহকে) হত্যা করেছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বারবার বললেও তাঁর ধারণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন নীলা।
তিনি বলেন, ‘২৯ বছর ধরে কিছু মানুষ আমাকে খারাপ বলতে… আমার ছেলেকে খারাপ বলতে শোনা হয়েছে। আমার জন্য ছেলে মারা গেছেন- এমন কথাও শুনতে হয়েছে।’
নীলা আরও বলেন, সম্প্রতি একেবারে সাম্প্রতিককালে অভিনেতা ‘ডন’ তাকে হুমকি দিয়েছিলেন- যার প্রেক্ষিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আদালতের তৎপরতা ও নির্দেশের পর এবার তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। ‘আদালত যেভাবে সোমবার ঘটনাটি উপস্থাপন করেছেন, সেটি আমাকে মানসিক শান্তি দিয়েছে,’ বলেন তিনি।
মামলার তদন্ত যখন ‘হত্যা’ হিসেবে পুনর্গঠিত হয়েছে, তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সালমান শাহের পরিবার এবং সমর্থকরা দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার পর গত এক মাসে শুরু হওয়া মামলার গতিবিধিকে স্বস্তিদায়ক বলে অভিহিত করেছেন।