প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ‘ঝুলন্ত সেতু’।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সেতুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করছেন স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং কর্তৃপক্ষ তখন সেতুতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড়ধসের পর থেকে প্রতি বর্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে সেতুটি ডুবে যায়। চলতি বছর ভারী বর্ষণে সেতুটি অন্তত চার ফুট পানির নিচে চলে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পানি কমে যাওয়ায় সেতুটি আবার ভেসে ওঠে। বুধবার (২২ অক্টোবর) পাটাতন দৃশ্যমান হওয়ার পর বৃহস্পতিবার এটি মেরামত করা হয় এবং শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
প্রথম দিনেই শত শত পর্যটক সেতুটি দেখতে ভিড় করেন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
ঝুলন্ত সেতুর টিকিট বিক্রেতা মো. মামুন জানান, ‘দীর্ঘদিন পর সেতুটি খোলায় মানুষ খুব উচ্ছ্বসিত। দুপুর পর্যন্ত শতাধিক টিকিট বিক্রি হয়েছে।’
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে এখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা আয় হয়।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। পরে এটি রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ১,৫০০ পর্যটক সেতুটি পরিদর্শনে আসেন এবং প্রতিবছর এখান থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা আয় হয়।