ছবি: সংগৃহীত।
আগামীকাল রবিবার (২৬ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সেমিকন্ডাক্টর খাতে শুল্কনীতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম রোল কল (Roll Call)-এর প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রবিবার সকালে কুয়ালালামপুরে পৌঁছে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেলে কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ট্রাম্প কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল-এর সঙ্গে এক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই চুক্তি দুই দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে স্বাক্ষরিত হবে।
দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষে ট্রাম্প অংশ নেবেন ১৩তম আসিয়ান-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ বৈঠক এবং আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে এক নৈশভোজে। পরদিন সোমবার তিনি মালয়েশিয়া ত্যাগ করবেন।
এরপর ট্রাম্পের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের কর্মসূচি রয়েছে। সোমবার তিনি টোকিওতে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (APEC) সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এডগার ডি. কাগান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের এই সফর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম এশিয়া সফর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার দশ বছর আগের সফরের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম মালয়েশিয়া সফর।
এ বছর আসিয়ানের চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়া ‘অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’(Inclusivity and Sustainability) শিরোনামে ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সম্মেলনের আয়োজন করছে।
সম্মেলনে আসিয়ানের ১০টি সদস্য রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ অংশীদার দেশগুলোর নেতারা অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি।