ছবি: সংগৃহীত।
আম্পাং পার্ক এলআরটি স্টেশনের বাইরে রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শতাধিক তরুণ-তরুণী ‘মুক্ত, মুক্ত ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকেল ৫টার পর স্টেশনের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের অনেকেই কেফিয়া ও মুখোশ পরে ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্ল্যাকার্ড ও ট্রাম্পবিরোধী ব্যানার।
এক পর্যায়ে এক তরুণ চিৎকার করে বলেন, ‘এখন জনগণের ট্রাইব্যুনাল অধিবেশন শুরু হয়েছে!’- এরপর ভেসে ওঠে একযোগে ফিলিস্তিনমুক্তির স্লোগান।
অন্যদিকে, স্টেশনের কাছেই এমআরটি আম্পাং স্কেট পার্কের রাস্তার ওপারে ভারী পুলিশ মোতায়েন ছিল। দাঙ্গা-বিরোধী ইউনিটসহ বহু পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন এলাকায়।
এর আগে সকাল থেকে দাতারান মের্দেকায় আরও একটি ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে সেখানে শত শত মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে জড়ো হন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ‘ট্রাম্প একজন ভণ্ড’, ‘ট্রাম্প একজন মিথ্যাবাদী’ স্লোগান দেন এবং ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানান।
অনেকে পরিবারের সদস্যসহ অংশ নেন, কেফিয়া পরে এবং ব্যানার হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে সংহতি জানান।
রাজনীতিবিদদের মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন পিকেআরের সাবেক সিনিয়র নেতা দাতুক জুরাইদা কামারুদ্দিন, চুয়া তিয়ান চ্যাং এবং পেজুয়াংয়ের দাতুক নিজাম মাহশার।
৩৮ বছর বয়সী গোম্বাকের ইকমাল বলেন, ‘আমরা চাই ট্রাম্প বিশ্ববাসীর ফিলিস্তিন সংহতি দেখতে পান। যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে আর সহযোগিতা না করে।’
দাতারান মের্দেকার পাশেই আইসক্রিম বিক্রি করা সিয়াওয়াল বলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনের পক্ষে, কিন্তু আসিয়ান সম্মেলনের মতো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এমন বিক্ষোভ আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারের আশপাশকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং আম্পাং পার্কে সমাবেশ না করার জন্য সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
র্যাপিড কেএলও ঘোষণা দিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সকাল ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কেএলসিসি, কনলে ও আম্পাং পার্কসহ কয়েকটি এলআরটি ও এমআরটি স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা মূলত পুত্রজায়া থেকে এমআরটি নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বন্ধ থাকায় মসজিদ জামেক পর্যন্ত গিয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছি।’