প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:০৩ (বুধবার)
পাকিস্তান গাজায় আইএসএফ-এ সেনা পাঠাতে পারে

ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ)-এ সেনা পাঠাতে পারে এবং এ বিষয়ে খুব শিগগিরই ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ডন এই খবর প্রকাশ করেছে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা এখন “উন্নত পর্যায়ে” রয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, ইসলামাবাদ এই মিশনে অংশ নিতে আগ্রহী।

আইএসএফ গাজায় স্থাপন করা হবে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজা শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে। এটি মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সৈন্যদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী হবে।

এর আগে জানানো হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের ২০-দফা প্রস্তাবনায় গাজায় একটি ‘ভঙ্গুর’ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বাহিনীর দায়িত্বের মধ্যে থাকবে: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষা, হামাসকে নিরস্ত্র করা, সীমান্ত পারাপার নিরাপদ রাখা, মানবিক ত্রাণ ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করা, যা অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে।

এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন গাজায় মার্কিন সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, কাতার, তুরস্ক ও আজারবাইজানের সঙ্গে পাকিস্তান বহুজাতিক বাহিনীতে অবদান রাখার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে।

তবে সোমবার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার জানিয়েছেন, এই বাহিনীতে তুর্কি সেনারা থাকবেন না।

ইসলামাবাদের কর্মকর্তারা বলেন, নৈতিক দায়িত্ব এবং কূটনৈতিক প্রয়োজনীয়তার কারণে পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,

‘আমরা গাজার শান্তি স্থাপনায় মূল সমর্থকদের মধ্যে ছিলাম। এখন সরে দাঁড়ানো মানে হবে আমরা যে উদ্যোগ গঠনে সহায়তা করেছি তা ত্যাগ করা। এটি শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিকভাবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।’