ছবি: সংগৃহীত।
শেনজেন ভিসা নিয়ে ভ্রমণ, ব্যবসা বা অন্য যে কোনো কারণে শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। তবে ভিসা আবেদন বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ঘটনা কম নয়। শুধুমাত্র ২০১৭ সালে ১৭ লাখ আবেদন বাতিল হয়েছে। সাধারণ ভুল এবং অবহেলার কারণে ভিসা বাতিল হওয়া সাধারণ। ভিসা পেতে হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ভিসা বাতিলের প্রধান ১০টি কারণ ও প্রতিকার হলো-
১. জাল বা নকল কাগজপত্র জমা দেওয়া: পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা চাকরির চিঠি নকল দিলে ভিসা বাতিল হতে পারে।
এড়ানোর উপায়: শুধুমাত্র অফিসিয়াল ও যাচাইযোগ্য কাগজপত্র জমা দিন।
২. ভ্রমণের উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকা: শুধুমাত্র ‘পর্যটন’ বা ‘ব্যবসা’ উল্লেখ যথেষ্ট নয়।
এড়ানোর উপায়: ভ্রমণের বিস্তারিত পরিকল্পনা, হোটেল বুকিং ও সহায়ক নথি জমা দিন।
৩. পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা দেখাতে না পারা: ভ্রমণের খরচ বহন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
এড়ানোর উপায়: স্থিতিশীল আয় দেখান, অতিরিক্ত টাকা জমান এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরি বা ট্যাক্স নথি জমা দিন।
৪. ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করা: ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিনের সীমা অতিক্রম করলে ভবিষ্যতে ভিসা বাতিল হতে পারে।
এড়ানোর উপায়: ভ্রমণ পরিকল্পনা সাবধানে করুন এবং শেনজেন স্টে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন।
৫. এসআইএসে নাম থাকা: অতীত অভিবাসন সমস্যা থাকলে ভিসা অনুমোদনে বাধা।
এড়ানোর উপায়: আবেদন আগে সকল অভিবাসন সমস্যা সমাধান করুন।
৬. জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি: অপরাধমূলক রেকর্ড বা সংক্রামক রোগ থাকলে ভিসা বাতিল হতে পারে।
এড়ানোর উপায়: চারিত্রিক সার্টিফিকেট ও চিকিৎসা ছাড়পত্র জমা দিন।
৭. বৈধ ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা না থাকা: কমপক্ষে ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ১৫০ টাকার কভারেজ বাধ্যতামূলক।
এড়ানোর উপায়: আবেদন আগে স্বাস্থ্য বীমা কিনে নিন।
৮. ভুল তথ্য দেওয়া: অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ভিসা বাতিলের কারণ।
এড়ানোর উপায়: সব তথ্য বাস্তবসম্মত ও সঠিক রাখুন।
৯. দেশে ফেরার উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকা: নিজের দেশে ফেরার প্রমাণ না দিলে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এড়ানোর উপায়: প্রত্যাবর্তনের তারিখ ও দেশে সংযোগ প্রমাণ করুন, যেমন পরিবার, চাকরি বা সম্পত্তি।
১০. জরুরি ভিসার জন্য যথেষ্ট কারণ না থাকা: মানবিক বা জরুরি কারণ স্পষ্টভাবে দেখাতে না পারলে বাতিল হয়।
এড়ানোর উপায়: যথাযথ ও বাধ্যতামূলক কারণ প্রদান করুন।
সঠিক প্রস্তুতি ও সতর্কতার মাধ্যমে শেনজেন ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আবেদনকারীদের উচিত নথিপত্র যাচাই, উদ্দেশ্য স্পষ্টকরণ এবং সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা।