প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৩ (বুধবার)
চবিতে ছাত্রদলের ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

ছবি: সংগৃহীত।

দীর্ঘ আট বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মোট ৪২০ জন পদ পেয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কমিটি বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা একে ‘ঢাউস কমিটি’ হিসেবে অভিহিত করছেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ তালিকায় নাম রয়েছে ৫৫ জন সহসভাপতি, ৯২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৬৩ জন সহসাধারণ সম্পাদক, ৬৪ জন সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬২ জন সদস্যের।

চবি শাখা ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির সদস্য থাকার কথা ৮১ জনের হলেও ঘোষিত কমিটিতে সদস্য সংখ্যা গঠনতন্ত্রের পাঁচ গুণেরও বেশি।

এবারের কমিটিতে ছাত্রী সদস্য রয়েছেন মাত্র ১১ জন, যেখানে গঠনতন্ত্র অনুসারে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নারী সদস্য থাকার কথা। অর্থাৎ, ৪২০ সদস্যের কমিটিতে অন্তত ৪২ জন ছাত্রী থাকার কথা ছিল।

গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে ‘ঢাউস’ কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বহুদিন কমিটি না থাকায় সাংগঠনিকভাবে অনেককে মূল্যায়ন করতে হয়েছে, তাই সদস্য সংখ্যা বেশি। গত ১৫ বছর আমাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে- তাই আগে সংগঠন গোছানোর সুযোগ ছিল না।’

ছাত্রী সদস্য কম থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারীদের রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার আগ্রহ কম। তবুও যারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন, আমরা সবাইকে গ্রহণ করেছি।’

ঘোষিত কমিটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী আয়ুবুর রহমানও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছেন।

কমিটি বিষয়ে শাখা সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মহসিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

আয়ুবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছিল। নতুন কমিটি ঘোষণায় এখন সবাই উচ্ছ্বসিত। বিশাল কমিটি হলেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট চবি শাখা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে একজনকে বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে, যেখানে সদস্য ছিলেন ২৪৩ জন।