ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে পার্টির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, `ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনে সরকার গণগ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে, যার জবাব আন্দোলনের ময়দানেই দেওয়া হবে।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মন্টু ঘোষ, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সমীর, রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক কফিল উদ্দিন মোহাম্মদ, সিলেটের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মনীষা ওয়াহিদসহ অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদেকুর রহমান শামীম।
বক্তারা বলেন, `শুক্রবার গভীর রাতে সিলেটের জালালাবাদ এলাকার বাসভবন থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির নেতা কমরেড অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সময় বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে আরও নয়জন শ্রমিকনেতাসহ মোট ২২ জনকে আটক করা হয়।'
এ ঘটনাকে তাঁরা `ন্যাক্কারজনক গণগ্রেফতার' হিসেবে আখ্যা দেন।
সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, `স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার এখন শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। এই ফ্যাসিবাদী আচরণের জবাব দেশের জনগণই দেবে।'
সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, `সিলেটে টানা ৪০ দিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ থাকায় হাজারো শ্রমিক পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। ঘরভাড়া, কিস্তি, দোকানদারের দেনা- সব মিলিয়ে এক অমানবিক পরিস্থিতি চলছে। শ্রমিকরা তাই নিরুপায় হয়ে রাস্তায় নেমেছে।'
তিনি আরও অভিযোগ করেন, `একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী সমস্যার সমাধান না করে উগ্র আঞ্চলিকতাবাদী বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। প্রশাসনও তাদের অনুসারী হয়ে শ্রমিকদের ওপর দমননীতি চালাচ্ছে।'
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও চলমান জুলুম-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় দেশব্যাপী ট্রেড ইউনিয়নের ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সমর্থন জানানো হবে বলে ঘোষণা দেন সিপিবি নেতারা।
বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল পুরানা পল্টন থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।