প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৩০ (মঙ্গলবার)
আলোচনায় জাকির নায়েকের ঢাকা সফর

ঢাকায় এসে পৌঁছলেই আলোচিত ইসলামিক বক্তা ডা. জাকির নায়েককে গ্রেফতার করতে চায় ভারত। জাকির নায়েককে ভারতের হাতে তুলে দিতে এরই মধ্যে তারা বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে নিজ দেশে আসা অতিথির ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ তা এখনও পরিষ্কার নয়।

তবে তিনি দেশে পা রাখলেই তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের কাছে এমন কিছুই আশা করছে ভারত। বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জাকির নায়েক এখন আছেন মালয়েশিয়ায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডা. জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানা গেছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে অনুষ্ঠানটির স্থান হতে পারে আগারগাঁও এলাকায়। 

জাকির নায়েকের সম্ভাব্য ঢাকা সফর নিয়ে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশকে বার্তাও দিয়েছেন।  সেই বক্তব্যের জবাবও দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রনধীর জয়সওয়াল বলেন, জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। তাই আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম  বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একজন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে। আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। পলাতক আসামী হিসেবে তার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় অর্ন্তবর্তী সরকার। তবে তাতে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি ভারত।