বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ইউনিয়নের সাবেক নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সুমনকে ১ নভেম্বর রাত ১টার দিকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। একই দিন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে রিকশা শ্রমিকদেরও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বাসদ কার্যালয় থেকে আরও ২২ জন নেতাকর্মী আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের রাত ৮টায় চারটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার দাশ বাপন ও সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে কমরেড সুমনসহ গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তারা জানান, এই চারটি মামলা সম্পূর্ণভাবে অসত্য ও ভিত্তিহীন। ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ কমরেড সুমন ও অন্যান্য শ্রমিক নেতাদের বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী।
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেছেন, দেশে আজ ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে সাধারণ মানুষ দিনমজুরির জীবনে দিশাহারা। এই জটিল বাস্তবতায় রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছিল। তবে সরকারের পুলিশ রাতের আঁধারে আইনজীবী ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ন্যায্য অধিকারের আন্দোলনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের প্রতিও কড়া প্রতিক্রিয়া হবে। একই সঙ্গে সাবেক যুবনেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সুমনসহ সকল গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় পাড়া-মহল্লার সকল বিবেকবান নাগরিকদেরকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।