প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯ (মঙ্গলবার)
সিলেট থেকে নিখোঁজ চার শিশু ঢাকায় উদ্ধার

ছবি- সংগ্রহ

সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বাইশটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুকে ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের আট দিন পর শিশুদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় স্বস্তি ফিরেছে তাদের পরিবারে।

জানা গেছে, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী চার শিশু—তানিম আহাম্মেদ (১২), আব্দুল হাকিম (১২), তামিম (১২) ও সুহিন মিয়া (১৩)—গত ২৬ অক্টোবর বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের পর এক শিশুর মা ২৮ অক্টোবর সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১২৬৯) করেন। শিশুদের মধ্যে একজনের কাছে মোবাইল ফোন থাকলেও নিখোঁজ হওয়ার পর সেটি বন্ধ পাওয়া যায়, যা ঘটনাটিকে সন্দেহজনক করে তোলে।

পরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ নিখোঁজ ঘটনার পূর্ণ বিশ্লেষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানার একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগর পুলিশের শাহজাহানপুর থানার সহযোগিতায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে কলোনির একটি খাবারের হোটেলে অভিযান চালিয়ে চার শিশুকে উদ্ধার করে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, উদ্ধারকৃত শিশুরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে—পারিবারিক আর্থিক সংকট ও পরিবারের প্রতি অভিমান থেকে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২৬ অক্টোবর রাতে ট্রেনে করে ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে পথ হারিয়ে তারা কমলাপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকায় আশ্রয় নেয় এবং জীবিকার তাগিদে স্থানীয় একটি খাবারের হোটেলে কাজ শুরু করে।

শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, এয়ারপোর্ট থানার পাঠানো অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজাহানপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায় এবং শিশুদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত চারজনই সুস্থ রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহজাহানপুর থানা পুলিশ শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার কাছে হস্তান্তর করেছে। পরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের প্রকৃত অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, নিখোঁজের পরপরই বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয় এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এ ঘটনায় পরিবারগুলো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।