প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫ (মঙ্গলবার)
সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবীতে  সিলেটে গণ-অনশন

ছবি: সংগৃহিত

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস পূর্ব নির্ধারিত স্থানে স্থাপনের দাবীতে ও কুচক্রী মহল কর্তৃক ক্যাম্পাস স্থানান্তরের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সিলেটে গণ অনশন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটস্থ শান্তিগঞ্জ সমিতির উদ্যোগে নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উক্ত গণ অনশন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির উপদেষ্টা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন পানি ও খেজুর দিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।

শান্তিগঞ্জ সমিতি সিলেটের সভাপতি মোঃ কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সমিতির উপদেষ্টা ও সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ খালেদ আহমদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক জগন্নাথপুর যুব উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এহিয়া চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি হযরত আলী তালুকদার, সহ-সভাপতি এম সোয়েব আহমদ, নিজাম উদ্দিন, বদরুল আলম টিপু, মাষ্টার তালেব হোসেন, মশিউর রহমান জায়গীরদার, বাবলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব খান, ইয়াং ষ্টার সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান হাবিব, শাহ আলম, সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বশির আহমদ ফারেজ, সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক এমজেএইচ জামিল, যুগ্ম-সম্পাদক হেলাল আহমদ, সাইকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মন্জুর আজাদ পাবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম সাপ্তাব, আমির উদ্দিন সিহাব, কোষাধ্যক্ষ সাইরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক রাজিব হোসাইন, দেব ব্রত দে সোনাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, সিনিয়র সদস্য ফিরোজ মেম্বার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সমিতির সদস্য হাফিজ রুবেল আহমদ।

গণ অনশনে বক্তারা বলেন, ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-সুবিপ্রবি হাওরপাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিরপেক্ষ স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেই আইন অনুসারে ইতোমধ্যে জায়গাও নির্ধারণ হয়ে গেছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নানা জরিপ শেষে এবার ক্যাম্পাস স্থাপনের পালা। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল ক্যাম্পাসটি অন্যত্র স্থানান্তরের নামে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানটির অধিকাংশই খাসজমি আছে এবং মালিকানাধীন জমির মূল্য আনুপাতিক হারে অনেক কম। জমিগুলো হাওরপাড় ঘেষিত হওয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে অত্র অঞ্চল তথা পুরো বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রাকৃতিক ও মনোমুগ্ধকর, যা পরিবেশবান্ধব। এই স্থানটি সুনামগঞ্জ শহর থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শহরের ১৫-২০ কিলোমিটার, এমনকি ৫০ কিলোমিটার দূরেও প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়। এখানে একাডেমিক, নিরাপত্তা, পরিবহন ব্যবস্থা ইত্যাদি জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চল বিবেচনায় স্থানটি সুনামগঞ্জ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট এবং উপযুক্ত জায়গা। আপনাদের সক্ষমতা থাকলে জেলা শহরে নতুন আরেকটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিন। আমরাও পাশে থাকবে। অযথা টানা হেচড়া করে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যত নষ্ট করার ষড়যন্ত্র পরিহার করুন।’