প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৮ (বুধবার)
বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবেদনকারীদের ‘চ্যালেঞ্জিং’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কানাডা

ছবি: সংগৃহিত

কানাডার সরকার বিদেশিদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে বিল সি–১২ পেশ করেছে। এই প্রস্তাবের পেছনে মূল কারণ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আসা ভিসা আবেদনে জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার ইমিগ্রেশন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। এই গ্রুপের লক্ষ্য হলো ভ্রমণ ভিসার জাল আবেদনগুলো চিহ্নিত করা এবং তা বাতিল করা। অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিতে ভারত ও বাংলাদেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে এই ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব এই ক্ষমতা প্রয়োজনের কারণ হিসেবে কেবল মহামারি বা যুদ্ধের পরিস্থিতি উল্লেখ করেছেন এবং কোনো দেশকে সরাসরি উল্লেখ করেননি।

আইন প্রণয়নের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৩০টির বেশি সুশীলসংগঠন, যেমন মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্ক, যারা বলছে, গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা সরকারকে ‘গণবহিষ্কারের যন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দেবে।

অভিবাসন আইনজীবীরাও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এই ক্ষমতা কি শুধুমাত্র আবেদন প্রক্রিয়ার জট কমানোর জন্য চাওয়া হয়েছে।

আইআরসিসি দাবি করেছে, নতুন প্রস্তাব কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা দেশের জন্য নয়, বরং সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ভিড় কমানো এবং ভুয়া পর্যটক ও অবৈধ পারাপার রোধ করতে ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া হয়েছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জুন থেকে মার্কিন সীমান্ত পার হয়ে কানাডায় প্রবেশের হার ৯৭ শতাংশ কমেছে, এবং জালিয়াতির কারণে ভিসা বাতিলের হার ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

তবে, কেন অভ্যন্তরীণ নথিতে বিশেষভাবে ভারত ও বাংলাদেশকে উল্লেখ করা হয়েছে- সিবিসি নিউজের প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি।