ছবি: সংগৃহিত
চট্টগ্রামের লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, বিডার কর্মকর্তাসহ ডেনমার্কের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এ চুক্তি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতির জন্য বড় অবদান। যাদের মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ ছিল, আশা করি আজ তা দূর হবে।’
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘লালদিয়া দেখিয়েছে পিপিপি শুধু তত্ত্বে নয়, বাস্তবেও কার্যকর। ভবিষ্যতেও আমরা বাস্তবায়ন- কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেব।’
এপিএম মুলারের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা বলেন, ‘লালদিয়া হবে অত্যাধুনিক গ্রিনফিল্ড টার্মিনাল। নিরাপত্তা, অটোমেশন ও স্থায়িত্বের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং লজিস্টিকস খাতের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’
প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে এবং সম্পূর্ণ বিনিয়োগ এপিএমের পক্ষ থেকে হবে। ‘সাইনিং মানি’ হিসেবে ২৫০ কোটি টাকা এবং নির্মাণকালে মোট প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। সরকারের কোনো অর্থায়ন বা গ্যারান্টি নেই। চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর, শর্ত পূরণে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে।
বন্দর নির্মাণের ফলে প্রতি বছর ৮ লাখ টিইইউ অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা যুক্ত হবে, যা বর্তমানের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি। প্রতিটি ইউনিটে পণ্য পরিবহনের খরচ কমবে এবং দ্বিগুণ বড় কনটেইনার জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে।
এছাড়া নির্মাণ ও পরিচালনায় ৫০০-৭০০ সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হবে, এবং পরিবহন, লজিস্টিকস ও বৃহত্তর সাপ্লাই চেইনে হাজারের বেশি পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এপিএম টার্মিনালের নিজস্ব ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপকরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাবেন।
চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।