ছবি: তারেক রহমান
শারীরিকভাবে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) হিসেবে ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবে ব্রিফিংয়ে কোনো প্রশ্ন গ্রহণ না করায় বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও উচ্চ মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে ভিভিআইপি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ভিভিআইপি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে সরকার খালেদা জিয়ার জন্য এসএসএফ নিরাপত্তা দিলেও, তাঁর ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনিও একই সুবিধা পাবেন কি না- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা এখনও অনিশ্চিত। তিনি নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, দেশে ফেরা তাঁর ‘একক সিদ্ধান্তে নির্ধারিত নয়।’
তবে সোমবার রাতে বিএনপির এক বৈঠকের পর দলটির মুখপাত্র ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তারেক রহমান ‘খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন’।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করার সরকারি পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে অনেকেই মনে করছেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান।