
ছবি- গুগল
গাজা থেকে কঙ্গো পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় অঞ্চলে ২০২৪ সালে শিশুদের ওপর সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের বিরুদ্ধে ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৬ হাজার ২২১টি ঘটেছে চলতি বছরেই, যা গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাকি ৫ হাজার ১৪৯টি ঘটনা আগের বছরের হলেও এ বছর যাচাই করা হয়েছে।
এছাড়াও ২০২৪ সালে সহিংসতায় সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু নিহত এবং সাত হাজারেরও বেশি শিশু আহত হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুর মধ্যে অন্তত ২২ হাজার ৪৯৫ জন একাধিকবার সহিংসতার শিকার হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে নির্বিচার হামলা ও সহিংসতার প্রধান শিকার শিশুরাই।
জাতিসংঘ মহাসচিবের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বা বলেন, এই ২২ হাজারের বেশি শিশুদের এখন স্কুলে থাকা বা খেলাধুলা করার কথা। কিন্তু তারা আজ শিখছে কীভাবে বোমা ও গুলির মধ্যে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের আর্তনাদ আমাদের সবার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো।
তিনি এটিকে বিশ্ব বিবেকের জন্য একটি 'সতর্ক সংকেত' হিসেবেও উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে তথাকথিত ‘লজ্জার তালিকা’, যেখানে শিশুদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ী পক্ষগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়।
এ বছর নতুন করে তালিকায় যুক্ত হয়েছে হাইতির একটি সশস্ত্র গ্যাং জোট, যাদের বিরুদ্ধে শিশু হত্যা, অঙ্গহানি, অপহরণ, যৌন সহিংসতা ও মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের নাম এবারও এই তালিকায় রয়েছে।
জাতিসংঘ প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ২০টি সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইএন/এআর।