প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০২৫ ১৮:৩৬ (বৃহস্পতিবার)
মবের বৈধতা দেওয়া যায় না : বাংলাদেশ ন্যাপ

ছবি- সংগ্রহ

যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, মব সৃষ্টি করে বিচার করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই দেশে মব সংস্কৃতি শুরু হয়। অর্থাৎ, মব আগেও ছিল। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শত শত মবের দৃষ্টান্ত রয়েছে-এমনকি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়ও। আমরা তখনও মবের বিরোধিতা করেছি, এখনও করছি। পূর্বের মবের উদাহরণ দিয়ে বর্তমানের মবকে বৈধতা দেওয়া যায় না।’

বুধবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সম্প্রতি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে জুতার আঘাত হানা ও জুতার মালা পরানোর ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। গত তিনটি প্রহসনের নির্বাচনের পেছনে যারা ছিলেন, তাদের প্রত্যেককেই গণতন্ত্র ধ্বংসের দায় বহন করতে হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। তবে বিচারের পূর্বেই মব গঠন করে কাউকে হেনস্তা করার ঘটনা কোনোভাবেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত হতে পারে না।’

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে আইনের শাসন দেখতে চাই। বিচার হবে আদালতের মাধ্যমে-মব কালচারের মাধ্যমে নয়। তাই সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রহসন ও মব বিচার আর না ঘটে।’

তারা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ইউএনও কর্তৃক প্রবীণ আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমানকে জনসম্মুখে হেনস্তার ঘটনাকেও ‘প্রশাসনিক মব’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটি ছিল পক্ষপাতদুষ্ট ও অসৌজন্যমূলক আচরণ। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনও সাহেবের এই আচরণ নিন্দনীয়। অবিলম্বে তার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসাথে ঘটনাস্থলে থাকা কিছু আলেমও যে ধরনের নীরব সমর্থন বা সহায়তা করেছেন, তা গোটা আলেম সমাজকেই অপমানিত করেছে-এটা তারা ভুলে গেলে চলবে না।’

তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশে এক ধরনের মব সংস্কৃতি গড়ে উঠছে-যা হামলা, অবমাননা ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সমাজকে বিপজ্জনক পথে ঠেলে দিচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপরে, মাজারে, রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপরে কিংবা সাধারণ ব্যক্তিদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না, যা জাতিকে হতাশ করছে।’

নেতৃদ্বয় ‘সোমবার (২৩ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’