
ছবি: সংগ্রহ
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ক্যাসুলা পাওয়ার হাউসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলার লোকসংস্কৃতির এক অনন্য আয়োজন- 'ভবের হাট সিজন ৯’।
এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মৈমনসিংহ গীতিকার গান ও নৃত্যে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রবাসী বাঙালিদের হৃদয়।
ফারিয়া আহমেদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় গীতি-আলেখ্য ‘সখী গো, আমার মন ভালা না’।
রাজন নন্দীর আলোক নির্দেশনায় শাকিল চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনা এবং অর্পিতা সোম চৌধুরী ও তাঁর দলের পরিবেশনা মঞ্চে এনে দেয় মৈমনসিংহ গীতিকার চিরন্তন আবেশ।
সুরের মূর্ছনায় দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন শিল্পীরা- বনফুল বড়ুয়া, লামিয়া আহমেদ, নিলাদ্রী চক্রবর্তী ও ফারিয়া আহমেদ নিজে।
যন্ত্রসংগীতে ছিলেন বিজয় সাহা (তবলা), সোহেল খান (গিটার), ফয়সাল সজীব (দোতারা) এবং লোকমান হাকিম (মন্দিরা)।
তাঁদের নিখুঁত সংগীতায়োজনে শ্রোতা-দর্শক যেন ফিরে যান বাংলার পল্লিগাঁথার পটে আঁকা কোনো সন্ধ্যায়।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ছিল গুণীজন সংবর্ধনা।
ভবের হাট কর্তৃপক্ষ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রবাসী গুণীজনদের সম্মাননা জানায়।
এক আবেগভরা দর্শক বলেন, ‘প্রবাসে থেকেও আজ মনে হলো আমি যেন নদীপাড়ে বসে বাউলগান শুনছি। এমন সন্ধ্যা কেবল হৃদয়ে গেঁথে রাখার মতো।’
ভবের হাটের পক্ষে জাকী খন্দকার জানান, আগামী সিজন ১০–এ তাঁরা আরও বড় পরিসরে বাংলার লোকসংস্কৃতি উপস্থাপন করতে চান।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের স্বপ্ন, বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়া।’
অনুষ্ঠানটি ছিল শুধুই একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, বরং প্রবাসজীবনের প্রেক্ষাপটে বাঙালির আত্মপরিচয় ও শিকড়ের এক সংবেদনশীল পুনরাবিষ্কার।