প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:২৩ (মঙ্গলবার)
জৈন্তাপুর মহিষ জব্দ মামলাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক

ছবি: সংগ্রহ

সিলেটের জৈন্তাপুরে পুলিশের চোরাচালানবিরোধী অভিযানের পর দায়ের হওয়া একটি মামলাকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। অভিযুক্তদের কয়েকজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা সংশোধনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন। তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে থানা কর্তৃপক্ষ।

থানা সূত্রে জানা যায়,  ২৮ জুন রাতে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল মহিষমারা হাওরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি ভারতীয় চোরাচালানের মহিষ জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, মামলার এজাহারে প্রাথমিকভাবে ৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও পরে আসামির তালিকা পরিবর্তন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

মামলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া দুজন ব্যক্তি দাবি করেন, তারা চোরাচালানের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন এবং বিনা কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের ভাষ্য, তারা নিরীহ মানুষ এবং প্রকৃত অপরাধীরা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের নাম বাদ দিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ দমনে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলছে। পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। তদন্তের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।কেউ যদি মামলায় অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।‘

ভুক্তভোগীরা তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে থানা প্রশাসন জানিয়েছে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।