
বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ জুলাই মাসের শুরুতেই ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই দেশে ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, ১ থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত এই রেমিট্যান্স এসেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো আয় থেকে। পরদিন ৬ জুলাই পর্যন্ত যোগ করলে এই আয় দাঁড়ায় ৪২৭ মিলিয়ন ডলারে। গত বছরের একই সময়ে (১-৬ জুলাই) রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৭১ মিলিয়ন ডলার। ফলে বছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করা, এবং সরকার ঘোষিত নগদ প্রণোদনা, এই তিনটি বিষয় প্রবাসী আয়ের ধারা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখছে।
এর আগেই ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিহাস গড়েছে। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় এবার প্রবৃদ্ধির হার ২৬.৮০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবৃদ্ধি শুধু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে না, বরং প্রান্তিক ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে সরাসরি। ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রবাসীদের ভূমিকা ক্রমেই আরও দৃশ্যমান হচ্ছে।