প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫ ২১:৪৭ (মঙ্গলবার)
যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক ফ্রান্সসহ আট দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে উদ্যোগ

ছবি: সংগ্রহ

যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, মিশর, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালদ্বীপ, জর্ডান ও ওমান- এই আট দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম শুরুর সম্মতি চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, 'এই দেশগুলোতে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর সকল প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের রয়েছে।'

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, 'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা অনুমোদন চেয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং আশা করছি দ্রুতই সাড়া পাব।'

তিনি আরও বলেন, জাপানে প্রবাসীদের এনআইডি ও ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম এই জুলাই মাসেই উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু টেকনিক্যাল কারণে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

গত ২ জুলাই ইসির পক্ষ থেকে পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মমিন সরকারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পররাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি ও ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতির ভিত্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

অবশিষ্ট ৩১টি দেশে, যেমন- ওমান, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মৌরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করতে চায় ইসি।

ইসির তথ্যমতে, বর্তমানে ৯টি দেশে চালু থাকা কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ৪৭ হাজার ৩২ জন প্রবাসী ভোটার হতে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে মিশন অফিসগুলো ২৯ হাজার ৫৬৩ জনের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করেছে এবং ২০ হাজার ৪৫১ জনকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। তবে ৩ হাজার ৬৭৭টি আবেদন বাতিল হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন আশা করছে, ডিসেম্বরের মধ্যে এই কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং দেশে ও প্রবাসে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়াতে এই কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।