প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৪৮ (রবিবার)
প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহিত।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘদিনের শূন্য পদ দ্রুত পূরণে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সরকার গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান ও প্রধান শিক্ষক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'দেশে প্রায় ৩২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদায়ন ও নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'যারা দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করছেন, অভিজ্ঞ-তাদের প্রাধান্য দিতে হবে। একই সঙ্গে মেধাবী ও উদ্যমী তরুণদেরও সুযোগ দিতে হবে। নিয়োগে একাধিক ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে যোগ্যদের নির্বাচন করতে হবে।'

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

শিক্ষকদের বদলি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'শুধু তদবিরের মাধ্যমে বদলি যেন না হয়, সে জন্য একটি স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বদলি হবে কেবল নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।'

বৈঠকে উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান বাড়েনি। তাই স্কুলগুলোর মূল্যায়ন করে র‍্যাংকিং করা হচ্ছে এবং পিছিয়ে থাকা বিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, যেসব স্কুলে ভালো ফল আসছে, সেখানে প্রধান শিক্ষকের দক্ষতা, নেতৃত্ব ও সহকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক একটি বড় ভূমিকা রাখছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা স্কুলগুলো নারীবান্ধব কিনা, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, 'প্রতিটি স্কুল ভবনের নকশা প্রণয়নে অন্তত একজন নারী স্থপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে মেয়েদের জন্য নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও উপযোগী অবকাঠামো নিশ্চিত করা যায়।'

এছাড়া তিনি দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।