
ছবি: সংগ্রহ
মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ এলাকায় শনিবার ভোরে চালানো এক অভিবাসন অভিযানে ১২০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ ও জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (পিজিএ)।
অভিযানের সময় এক নারী অভিবাসী তার স্বামী ও দুই শিশুসন্তানকে রেখে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীর কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল না।
দেশটির সংবাদমাধ্যম হারিয়ান মেট্রো জানিয়েছে, পারসিয়ারান প্যানোরামা লাপাঙ্গান পেরদানার একটি নির্মাণস্থলে এ অভিযান চালানো হয়। সুলাওয়েসি দ্বীপের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী ও দুই সন্তানকে (যাদের বয়স যথাক্রমে দুই ও তিন বছর) ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তবে পলাতক নারীর কোনো খোঁজ মেলেনি।
অভিযানে মোট ২০০ জনের বেশি অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ১০ জন শিশু ছিল।
পেরাক ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক জেমস লি জানান, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) ও ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ অনুযায়ী ১২০ জনকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, `আমাদের লক্ষ্য হলো মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভুয়া ভিসা ব্যবহার বন্ধ করা এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত অপরাধ রোধ করা।
নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান-ভিসা প্রক্রিয়ায় অন্য কাউকে ব্যবহার না করে সরাসরি ইমিগ্রেশন বিভাগে যোগাযোগ করুন।'
আটককৃতদের পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। যেসব শিশুদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের একটি বিশেষ ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।