
ছবি: সংগৃহিত।
সিলেট নগরীর কাজির বাজার এলাকায় হোটেল কর্মচারী রুমন (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি আব্বাস মিয়া (৫৫)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সিলেট মহানগর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আদালতের বিচারক উম্মে হাবিবার কাছে এই জবানবন্দি দেন তিনি।
আব্বাস মিয়া সিলেট নগরীর তোপখানার আফজাল মিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া ও মৃত মনু মিয়ার পুত্র। তিনি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং আদালতে দোষ স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে আব্বাস বলেন, হোটেলে চা দিতে দেরি হওয়ায় রাগান্বিত হয়ে তিনি লোকজন নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে তার ছেলে রোহান হাতের চাকু দিয়ে রুমনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে রুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকেলে আব্বাসকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি প্রিজন মো. ছগির মিয়া।
এর আগে, গত ১৪ জুলাই আব্বাসকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্তের অগ্রগতির স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিপলু চৌধুরী আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শেষে স্পেশাল কোর্টে হাজির করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। এসআই শিপলু জানান, ‘আব্বাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা দিনরাত অভিযান চালাচ্ছি।’
মামলার বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘রুমন একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তিনি হোটেলে কাজ করতেন। আমরা এই মামলাটি আন্তরিকভাবে তদন্ত করছি, যাতে বাদী পক্ষ ন্যায়বিচার পায়। কেউ যেন দায়মুক্তি না পায়, সেজন্য পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলামও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আব্বাস আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। এই মামলার প্রতিটি অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এদিকে কাজির বাজার এলাকার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।