প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:২৬ (রবিবার)
দক্ষিণ সুরমাকে মাদকমুক্ত করতে চান ইউএনও উর্মি রায়

ছবি: সংগৃহিত।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি রায়। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মাদক প্রতিরোধে প্রশাসন, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিটি স্তরে কার্যকর তৎপরতা নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির নিয়মিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউএনও।

তিনি বলেন, ‘উপজেলায় মাদকদ্রব্য বিক্রি ও মাদকাসক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সক্রিয় হতে হবে।’ তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শিগগিরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান।
ঊর্মি রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন ও প্রতিরোধমূলক ভূমিকায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সভায় সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও তীব্র লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়েও চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভার সভাপতি ইউএনও বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পিছনে নিশ্চয়ই কোনো যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তবে এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এছাড়া দক্ষিণ সুরমায় মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। একই সঙ্গে নাম্বারপ্লেটবিহীন সিএনজি অটোরিকশাগুলো মাদক পরিবহন ও চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে-এমন অভিযোগে দুই থানার অফিসার ইনচার্জরা চলমান অভিযানের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, মোগলাবাজার থানার ওসি খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মারফত আলী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বৃষ্টি, একাডেমিক সুপারভাইজার রীমা দাশ, ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর টিটন সিকদার, এভিসিবি-৩-এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোছা. মরিয়ম সুলতানা, ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. আব্দুল আজিজ, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সভায় বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিকার নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা গঠনমূলক মতামত দেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।