
ছবি: সংগৃহিত।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, 'পতিত ও পরাজিত শক্তি নির্বাচন নিয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে এই ঐতিহাসিক সুযোগ ব্যর্থ করে দিতে চায়। এই অপচেষ্টা রুখতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'অভ্যুত্থানের সব শক্তি মিলে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে মস্ত বড় সুযোগ হারিয়ে ফেলব। এখন যখনই আমরা নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা কোনো ষড়যন্ত্রেই থামবে না, কারণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ঐক্য আজ স্পষ্ট।'
তিনি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা হলেন- জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-এর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।