প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৪১ (সোমবার)
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ১৩ হাজারের বেশি অনাথ অভিবাসী শিশু শনাক্ত

ছবি: সংগৃহিত।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিভাবক ছাড়া প্রবেশ করা ১৩ হাজার ৬১ জন অভিবাসী শিশুকে শনাক্ত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগের একজন কর্মকর্তা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের সময় যেসব শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই এখন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) ইন্সপেক্টর জেনারেলের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসনের আমলে প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার অনাথ শিশু যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন এখনো বাইডেনের সময়ে আগত অভিভাবকবিহীন কিছু শিশুকে দ্রুত দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। শনাক্ত শিশুদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে চায় কি না- যা অতীতে প্রচলিত ছিল না। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, এসব শিশু সরাসরি এইচএইচএসের হেফাজতে দেওয়া হতো।

ডিএইচএসের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন সিএনএনকে বলেন, 'শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের বাবা-মা বা নিরাপদ অভিভাবকের কাছে পুনর্মিলন করানো ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে হারিয়ে যাওয়া প্রায় তিন লাখ শিশুর বিপরীতে এটি আমাদের একটি সুস্পষ্ট অবস্থান।'

এইচএইচএস সূত্র জানিয়েছে, শিশুদের শনাক্ত করার পাশাপাশি ৪২২ জন স্পনসরকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এসব স্পনসরের বিরুদ্ধে শিশুদের নির্যাতন বা অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে রাজি, তাদেরকে আইসিই-এর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি আইসিই তাদের হেফাজতে না নেয়, তাহলে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) ওই শিশুদের এইচএইচএসের কাছে হস্তান্তর করবে।

ডিএইচএসের ইন্সপেক্টর জেনারেলের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে যেসব অনাথ শিশু যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদের কার্যকরভাবে শনাক্তে আইসিই ব্যর্থ হয়েছে।

অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আদালতে হাজিরার নির্দেশপ্রাপ্ত প্রায় ৪৩ হাজার শিশু নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত হয়নি। এছাড়া যেসব শিশুকে স্পনসরের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩১ হাজারের মুক্তির নথিতে সঠিক ঠিকানা ছিল না বা তথ্য ছিল অসম্পূর্ণ।