প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:২৮ (বুধবার)
ভিউ থেকে ইউটিউবে কত আয়

ছবি: সংগৃহিত।

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম ইউটিউব। ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছেন অনেকে।

তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন- এক মিলিয়ন ভিউ হলে ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া কঠিন। কারণ ইউটিউবের আয় নির্ভর করে নানা বিষয়ের ওপর।

তারপরও সাধারণভাবে বলা যায়, এক মিলিয়ন ভিউ থেকে ২,৫০০ থেকে ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় সম্ভব, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।

ভিউ পেলেই কি আয়? না, শুধু ভিউ হলেই ইউটিউব থেকে টাকা আসে না। প্রথমত, চ্যানেলটি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের (YPP) আওতায় থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভিডিওতে অন্তত এক হাজার ভিউ থাকতে হবে এবং সেটি মনিটাইজড হতে হবে।

সাধারণভাবে, এক হাজার ভিউ থেকে আয় হয় ১- ২৫ ডলার; এক লাখ ভিউতে আয় হতে পারে শত ডলার থেকে হাজার ডলার পর্যন্ত।

আয়ের নির্ধারক কিছু বিষয়

ইউটিউব থেকে ঠিক কত টাকা পাওয়া যাবে, তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে-

ভিডিওর বিষয়বস্তু (কনটেন্ট টাইপ): ফিন্যান্স, টেকনোলজি, রিভিউ বা শিক্ষামূলক কনটেন্টে আয় বেশি হয়। এই ধরনের ভিডিওতে বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি টাকা খরচ করেন।

সিপিএম (Cost Per Mille): প্রতি এক হাজার ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতা কত টাকা দিচ্ছেন, সেটিই সিপিএম। উন্নত দেশগুলোর দর্শকের ক্ষেত্রে সিপিএম বেশি হয়।

সিটিআর (Click Through Rate): ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনে কতজন ক্লিক করছেন, তার শতকরা হার। সিটিআর যত বেশি, আয় তত বেশি।

ভিডিওর দৈর্ঘ্য: দীর্ঘ ভিডিওতে ইউটিউব একাধিক বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে, ফলে আয়ও বেশি হয়।

ভিউয়ের উৎস (লোকেশন): যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের দর্শক বেশি ভিউ দিলে সিপিএমও বেশি হয়।

অনেকে মনে করেন ইউটিউব ভিডিওর ভিউ থেকেই আয় হয়, কিন্তু বাস্তবে মূল আয় আসে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড প্রোমোশন, স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি মাধ্যম থেকে। ইউটিউব কেবল একটি প্ল্যাটফর্ম, যা এই সুযোগগুলো এনে দেয়।

ইউটিউবে আয় করতে হলে যা লাগবে: ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার; সর্বশেষ ১২ মাসে কমপক্ষে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম; কমিউনিটি গাইডলাইন ও কপিরাইট নিয়ম মানা; চ্যানেলে স্ট্রাইক না থাকা।

এক মিলিয়ন ভিউ একটি বড় মাইলফলক। তবে এর থেকে কত আয় হবে, তা নির্ভর করে কনটেন্টের মান, দর্শকের অবস্থান, বিজ্ঞাপনদাতাদের আগ্রহ ও ভিডিওর ধরনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে ইউটিউব থেকেও মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।