প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫৩ (সোমবার)
মাটি ও বালু চাপা দিয়ে আড়াল করা লুটের পাথর উদ্ধার অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত।

মাটি ও বালু চাপা দিয়ে আড়াল করা লুটের পাথর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধারের অভিযান শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আশিক কবিরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী এ অভিযানে নামে।

অভিযানের শুরুতে বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্রাশার মিলের পেছনে ও গর্তে মাটি ও বালু চাপা দেওয়া পাথর উদ্ধার করতে দেখা যায়।
অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আশিক কবির সাংবাদিকদের জানান, কোম্পানীগঞ্জজুড়ে শতাধিক স্থানে লুটের পাথর মাটি চাপা রয়েছে-এমন তথ্য তাদের কাছে আছে। এছাড়া লুটের পাথর শুধু ক্রাশার মিলেই নয়, কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে, এমনকি রান্নাঘরের পেছনেও লুকানোর চেষ্টা করছে লুটেরা চক্র।

অভিযানের সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রাশার মিলের মালিক অভিযোগ করেন, যারা পাথর লুট করেছে তারা ক্রাশার মিল ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে চলে গেছে; এখন সৎ ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন।

উদ্ধার হওয়া এসব পাথর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাদাপাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে গত দুই দিনে দেড় লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাব ঢাকার কাঁচপুর ও ডেমরা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ৭০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এসব পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হবে।

এর আগে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরবর্তী সময়ে প্রায় ২ কোটি ঘনফুট পাথর লুটের অভিযোগ ওঠে। এ সময় পুরো প্রশাসন ছিল নীরব, জেলা প্রশাসনও দায়সারা ভূমিকা নেয়। এ সুযোগে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও ও ওসিকে তুষ্ট করে জেলা বিএনপির নেতাদের আশ্রয়ে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা এক হয়ে এ লুটপাট চালায়। বিষয়টি গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের পর সরকার ও দেশবাসীর নজরে আসে এবং শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এর পর বাধ্য হয়ে প্রশাসন তৎপর হয় এবং শুরু হয় লুটের পাথর উদ্ধারের অভিযান, যা শুক্রবার পর্যন্ত চলমান ছিল