প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৩৪ (রবিবার)
ইউক্রেনকে ছাড় দিতে বললেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির কঠোর প্রত্যাখ্যান

ছবি: সংগৃহিত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করা। তাঁর মতে, রাশিয়া একটি বিশাল শক্তি, ইউক্রেন সেই তুলনায় ছোট দেশ।
গত শুক্রবার (স্থানীয় সময়) আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে বেশির ভাগ স্থানে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।


সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শিল্পসমৃদ্ধ দোনেৎস্ক বহুদিন ধরেই পুতিনের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা এবং দোনেৎস্কের তিন ভাগ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ট্রাম্প বৈঠকের পর জানান, যুদ্ধ থামাতে সরাসরি শান্তিচুক্তির কোনো বিকল্প নেই। তাঁর ভাষায়, ‘এটা নিছক যুদ্ধবিরতি নয়, বরং স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হতে পারে।’ তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম পথ একটি শান্তিচুক্তি।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার সদিচ্ছা না থাকলে স্থায়ী শান্তি অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধের মূল উপাদান হলো হত্যা বন্ধ করা।’ জেলেনস্কি সোমবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। সেসময় জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সেরও তর্ক হয়। তবে এবার ট্রাম্প আশাবাদী, পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একসঙ্গে বসতে পারবেন।

ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা। তারা ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দেবেন। তবে কারা আমন্ত্রিত হয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়। এর পর থেকে ইউরোপে গত আট দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের মিলিয়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে হাজারো ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।