ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই মাসের জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়েছে। কমিশনের সঙ্গে দলের সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় মোট ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা খসড়া সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রথম পর্বের আলোচনায় যা ঐকমত্য হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল স্থাপন, রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, তথ্য অধিকার আইনের সংশোধন, দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন, নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সংশোধন ও কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া, আয়কর আইনের সংশোধন ইত্যাদি।
দ্বিতীয় পর্বে ১১টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবেও দলগুলোর মধ্যে কোনো ভিন্নমত দেখা যায়নি। এসব প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত: সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ (সুপ্রিম কোর্ট ও উপজেলা পর্যায়ের অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ), জরুরি অবস্থা ঘোষণা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, সংবিধান সংশোধন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, নির্বাচন কমিশন গঠন, পুলিশ কমিশন গঠন এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।
তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নমতও রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের মূলনীতি, রাষ্ট্রপতির নির্বাচনপদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব , প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, উচ্চকক্ষে পিআর ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, নারী আসনের বিধান, ন্যায়পাল ও বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া, এবং ওপেন গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপে অংশগ্রহণ।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া দলগুলোর পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে দলগুলোর মতামত গ্রহণের পর চূড়ান্ত সনদ অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত হবে।