প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১১ (বৃহস্পতিবার)
প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাতারগুলবাসীর গণ-ঐক্য

ছবি: সংগৃহীত।

দেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল এখন শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, পরিবেশ রক্ষার গণ-ঐক্যের উদাহরণ হিসেবেও পরিচিত হচ্ছে। বালু, পাথর আর গাছ লুটের কারণে যখন সিলেটের বেশিরভাগ পর্যটনকেন্দ্র শ্রীহীন হয়ে পড়েছে, তখন রাতারগুলে উল্টো দৃশ্যপট দেখা যাচ্ছে। এখানকার বাসিন্দারা এককাট্টা হয়ে বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছেন।

প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গণ-ঐক্য
১৯৭৩ সালে বন বিভাগ রাতারগুল জলাবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে। ৫০৪ একর আয়তনের এই বন হিজল-করচ গাছ, নদী-হাওর ও নানা প্রজাতির পাখির আবাসস্থল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বনটিকে নিজেদের সম্পদ মনে করেই তারা পাহারা দেন। বালু উত্তোলন, মাছ শিকার কিংবা গাছ কাটার মতো কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সবাই মিলে নজরদারি চালান।

অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র যেখানে নিঃস্ব, রাতারগুল সেখানে ভরপুর
গত এক বছরে সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, শ্রীপুর, উৎমাছড়া, লোভাছড়ার মতো পর্যটনকেন্দ্রে নির্বিচারে বালু-পাথর লুটে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে পড়েছে। 
কিন্তু রাতারগুলে স্থানীয়দের ঐক্যের কারণে কোনো অপশক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফলে আজও রাতারগুল পর্যটকে পরিপূর্ণ।

প্রশাসনের প্রশংসা
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘যখন অনেক জায়গায় বালু-পাথর লুট চলছে, তখন রাতারগুলবাসী সরকারি সম্পদ রক্ষার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অনুসরণযোগ্য।’