প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৫ (বৃহস্পতিবার)
ন্যায়বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নিহত রায়হানের মা

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ন্যায়বিচারের দাবিতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নিহত রায়হানের মা। রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জামিন লাভের পর সন্ধ্যায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার থেকে মুক্তি পান।

কারাগার থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর নিহত রায়হানের মা গভীর হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন এই আসামি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তার জামিনে আমরা হতাশ হয়েছি।’

পরিবারের অভিযোগ, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে রায় ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু প্রধান আসামির জামিনে রায় দ্রুত কার্যকর হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া রায়হানের পরিবার আশঙ্কা করছে, আকবর বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।

সূত্র জানিয়েছে, মামলার আরেক আসামি এএসআই আশেক এলাহিও শিগগিরই জামিন পেতে পারেন। বাকি আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন-একজন যুক্তরাষ্ট্রে, একজন ফ্রান্সে এবং দুজন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হেফাজতে মৃত্যু অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। কনস্টেবল হারুন অর রশিদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আকবরকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পিবিআই ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেখানে প্রধান আসামি করা হয় এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং আকবরের আত্মীয় ও স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।