প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৩ (বৃহস্পতিবার)
কক্সবাজারে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস’ পালিত, প্রত্যাবাসন ও বিচার দাবি

ছবি: সংগৃহীত।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে সোমবার (২৫ আগস্ট) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে। বিশেষত উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের ফুটবল খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রায় ২৫-৩০ হাজার রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করেন। এই সমাবেশে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফেরার আকুতি জানিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত গণহত্যার বিচার দাবি করেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ২০২২ সাল থেকে প্রতিবছর ২৫ আগস্ট এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে উখিয়া ও টেকনাফের অন্তত ১৫টি আশ্রয়শিবিরে মানববন্ধন, পথসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, ‘রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। তবে রাখাইনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব কিনা তা আন্তর্জাতিক মহলকে বিবেচনা করতে হবে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও আরাকান আর্মির বাধার মুখে পড়তে হবে।’

রোহিঙ্গা নেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘সামরিক বাহিনী গুলি করে হাজারো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান গণহত্যার মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত চাই।’

সমাবেশে রোহিঙ্গারা নিজের দেশে নিরাপদভাবে ফিরে যাওয়ার, সহায়-সম্পত্তি ফিরিয়ে পাওয়ার এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের দাবি জানান। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার এসেছে শেষ ১৮ মাসে। কিন্তু গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।