প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ২২:২৬ (সোমবার)
ভারতের রাজনীতিতে সিনেমা তারকাদের উত্থান

ছবি: সংগৃহিত।

ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে চলচ্চিত্র তারকাদের প্রভাব সুপরিচিত। রূপালি পর্দায় জনপ্রিয়তা অর্জন করা অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী রাজনীতিতেও সফল হয়েছেন। সাধারণ মানুষ তাদের অভিনয় যেমন পছন্দ করেছেন, বাস্তব জীবনের নেতৃত্বেও আস্থা রেখেছেন।

জয়া বচ্চন, হেমা মালিনী, দেব, নুসরাত জাহান, মিমি চক্রবর্তী প্রমুখ অভিনয় জগত পেরিয়ে রাজনীতির শীর্ষে পৌঁছেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

সম্প্রতি তামিল অভিনেতা থালাপতি বিজয়ও নতুন দল খুলে রাজনীতিতে এসেছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু অভিনেতা-মুখ্যমন্ত্রীর তালিকা:

এম. জি. রামচন্দ্রন (এম. জি. আর): তামিলনাড়ুর কিংবদন্তি অভিনেতা ছিলেন এম. জি. আর। তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়িয়ান প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন (এআইএডিএমকে) দলের প্রতিষ্ঠাতা।

ভি. এন. জানাকি রামচন্দ্রন: এম. জি. আরের স্ত্রী জানাকি রামচন্দ্রনও রাজনীতিতে এসেছিলেন। ১৯৮৮ সালের ৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বল্পকালীন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন।

জয়ললিতা: তামিল সুপারস্টার জয়ললিতা রাজনীতিতেও অত্যন্ত সফল। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ছয়বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ক্ষমতায় ১৪ বছরের বেশি সময় কাটান। জয়ললিতার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে সিনেমাও নির্মিত হয়েছে।

এন. টি. রামা রাও (এন. টি. আর): তেলেগু সিনেমার বিশিষ্ট অভিনেতা এন. টি. আর ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত চারটি মেয়াদে মোট সাত বছর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি তেলেগু দেসাম পার্টি (টিডিপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা।

ভাগবন্ত মান: জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভাগবন্ত মান ২০২২ সালে আম আদমি পার্টি থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। তিনি মঞ্চ, টিভি ও সিনেমায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

পবন কল্যাণ: তেলেগু সুপারস্টার পবন কল্যাণ ২০২৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে সিনেমা ও রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই সক্রিয়।

ভারতের রাজনীতিতে চলচ্চিত্র তারকাদের প্রভাব প্রমাণ করে, জনপ্রিয়তা ও জন আস্থার সমন্বয়ে সিনেমার মানুষও রাজনীতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন।