প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩১ (বৃহস্পতিবার)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষ:  সড়ক ও রেল অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আজ রোববার সকাল থেকে দুইদল পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করেছে, যেখানে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, সিসিটিভি ফুটেজ প্রদর্শন এবং নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে। একই ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করে।

সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় বাসিন্দারা চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেলপথ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট থেকে হাটহাজারী যাওয়ার সড়ক অবরোধ করেছেন। সকাল ৯টার দিকে শুরু হওয়া এই অবরোধ দুপুর সাড়ে ১২টার সময়ও চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় সকাল ৯টার দিকে ছাত্রশিবিরের নেতারা মূল ফটক অবরোধ করেন। বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, নিরাপত্তা চরমভাবে কম ছিল এবং প্রশাসনের উপস্থিতি যথাযথ সময়মতো ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রাত সোয়া ১২টার দিকে ২ নম্বর গেটে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটার পর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়েছে।

সংঘর্ষ ও বিক্ষোভের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এছাড়া সড়ক ও রেল অবরোধের কারণে এলাকায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।