প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৬ (বৃহস্পতিবার)
উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ছাত্রজোটের সংবাদ সম্মেলন

ছবি: সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার ও প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের পদত্যাগ দাবিতে আজ দুপুরে দুটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শাখা ছাত্রদল আজ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। বিক্ষোভে দেওয়া হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরে, প্রশাসন কী করে’, ‘উপাচার্য হায় হায়, নিরাপত্তার খবর নাই’, ‘দফা এক, দাবি এক প্রশাসনের পদত্যাগ’ ইত্যাদি স্লোগান।

শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, ‘প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার দায়ে উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।’ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘৩০ হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন বারবার ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। হামলার সময় প্রশাসন নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছিল; এমন প্রশাসনের আর নৈতিক অধিকার নেই।’

অন্যদিকে, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটও আজ বেলা ১১টায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ঝুপড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে এবং পদত্যাগ করতে দাবি তুলেছে। এছাড়া জোটের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িতদের শাস্তি, ক্যাম্পাসে ইলেকট্রনিক কার চালু করা ও চক্রাকার বাস পরিচালনা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ও সহকারী প্রক্টর সংঘর্ষের সব দায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়েছেন। ২০২৩ সালে শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার সময়ও সাবেক উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দায় দিয়ে ন্যক্কারজনক রাজনীতি করেছিলেন। শিক্ষার্থীরা এখন নিরাপদ নয়; প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভাড়া বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শনিবার রাতে জোবরা গ্রামের লোকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি এবং দুই দিনের সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।