
ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সৌন্দর্য, প্রতিভা ও অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে জেন অস্টেনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ চলচ্চিত্র দিয়ে হলিউডে অভিষেক ঘটে, যা বলিউড ও আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করে।
ঐশ্বরিয়ার হলিউড যাত্রা নিয়ে মতভেদও ছিল। করণ জোহরের অনুষ্ঠান ‘কফি উইথ করণ’-এ ২০০৪ সালে প্রশ্ন ওঠে, তিনি হলিউডে সফল হবেন কি না। তখন অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘সে নির্দিষ্ট একটি জায়গা পর্যন্ত পৌঁছাবে, কিন্তু তার পর একটা কাচের দেওয়াল থাকবে।’
অভিষেক বচ্চন ঐশ্বরিয়ার প্রশংসা করে বলেন, তিনি একজন প্রতিভাবান এবং দারুণ সহশিল্পী। জায়েদ খান মনে করেছিলেন, তার সর্বজনীন আকর্ষণ আছে। একতা কাপুরও আশা প্রকাশ করেছিলেন, ঐশ্বরিয়া সফল হবেন, কারণ তার প্রথম কাজও ছিল ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে।
শাবানা আজমি মন্তব্য করেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার সব যোগ্যতা আছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকে-হলিউডে লড়াই চালিয়ে যাবেন নাকি বলিউডেই নিজেকে নিরাপদ মনে করবেন। সুস্মিতা সেন বলেন, ঐশ্বরিয়াকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন তিনি বলিউডকে হলিউডে নিয়ে যাচ্ছেন-যা তিনি চাইছেন সত্যি হোক। বিপাশা বসু মনে করেন, ঐশ্বরিয়া ইতিমধ্যেই এক ধাপ এগিয়ে গেছেন, যা প্রশংসনীয়। তবে সঞ্জয় দত্ত খানিকটা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চাই সে সফল হোক, কিন্তু আমার মনে হয় না।’
‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’-এর পর ঐশ্বরিয়া অভিনয় করেছেন ‘দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস’, ‘প্রোভোকড’ এবং স্টিভ মার্টিনের সঙ্গে ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২’-এ। যদিও হলিউডে তার সময়কাল সংক্ষিপ্ত ছিল, তবু কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে তার উপস্থিতি আজও বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি বছর ভক্তরা তার নতুন লুক দেখার অপেক্ষায় থাকেন।