ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সকাল থেকেই ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সবগুলো কেন্দ্রেই দেখা গেছে ভোটারদের লম্বা লাইন
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভোট দিতে তাদের পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগছে। অনেকে এমন আছেন যারা আগে কখনও ভোট দেননি। তারা খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করলেও তাদের মধ্যে বিরক্তির ছাপ দেখা যায়নি।
নির্বাচন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। এছাড়া ডিবি, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও সাদাপোশাকধারী গোয়েন্দারাও দায়িত্ব পালন করছেন। মোট আটটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সিসিটিভি মনিটরিং, মোবাইল টহল ও রিজার্ভ ফোর্স রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নিরাপত্তা জোরদারে শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিশেষ ‘ভলান্টিয়ার টিম’ গঠন করেছে। তাঁরা প্রতিটি হলে ভোটকেন্দ্র পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন চলাকালে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রবেশমুখ-শহীদ মিনার, পলাশী, নীলক্ষেত, উদয়ন স্কুল, ফুলার রোড ও দোয়েল চত্বর-সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে শুধু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন।
মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে ৬২ জন ছাত্রী। অন্যদিকে ১৮টি হলে প্রতি হলে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, `সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করি, শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।'