ছবি: ইমজা নিউজ
সরকারি ওষুধের পাশাপাশি রোগির জরুরি প্রয়োজনে কেনা হয় বেসরকারি ওষুধ। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রতি মাসে নিয়ম করে বেসরকারি ওষুধ কেনার টাকাও নেওয়া হয়। তবে তা রোগিদের সরবরাহ করা হয় না। উপরন্ত রোগিদের অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে বাধ্য করে সেগুলো আত্মসাৎ করা হয়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
বুধবার বিকেলে ৫ সদস্যের অভিযানিক দলটির নেতৃত্বে থাকা দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক জুয়েল মজুমদার জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিভাগীয় এই হাসপাতালজুড়ে অপরিচ্ছন্নতা, রোগীদের নির্ধারিত খাবার মেনুর চেয়ে কম দেওয়া, হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি করা, রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ না দেওয়া, আউটসোর্সিংয়ে অনিয়ম, ২৬২ জন কর্মচারীর বেতন তিন মাস ধরে আটকে রাখা, অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ দেখিয়ে প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে বাড়তি ১৮,০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অধিকতর তদন্তে কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এর আর আগে বুধবার দুপুর থেকে হাসপাতালে অভিযান শুরু করে দুদক দল। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওয়াশরুম, রোগীদের দেওয়া খাবার, প্যাথলজি বিভাগ পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তারা।
হাসপাতালের সেবা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ৯০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে সেবা নেন ২ হাজার রোগী। হাসপাতালে সেবার মান নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে রোগীদের। আছে অনিয়মের অভিযোগও।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে।