প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৩ (মঙ্গলবার)
কুয়ালালামপুর: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর

ছবি: সংগৃহীত।

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আকাশে নতুন ইতিহাস গড়েছে। মাত্র ছয় মাস আগেও চতুর্থ স্থানে থাকা এই বিমানবন্দর এখন উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে

আগস্ট মাসে ৩.৩২ মিলিয়ন যাত্রীবাহী আসন পরিচালনা করে কেএলআইএ সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের পরেই জায়গা করে নিয়েছে।

চীন থেকে আসা পর্যটক লি ঝেন বলেন, ‘ভিসা ছাড়া মালয়েশিয়ায় আসা এখন অনেক সহজ। কেএলআইএ-তে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটাও আগের চেয়ে দ্রুত মনে হয়েছে।’

ভারতীয় ব্যবসায়ী রবি শংকর জানান, ‘বিভিন্ন এয়ারলাইন ও নতুন রুট যুক্ত হওয়ায় কেএলআইএ-র কানেক্টিভিটি এখন অনেক শক্তিশালী। এতে ব্যবসায়িক সফর সহজ হয়ে গেছে।’

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি এক যাত্রী বলেন, ‘কেএলআইএ-তে যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও সেবার মান ও যাত্রী ব্যবস্থাপনা এখনও প্রশংসনীয়।’

পর্যটন ব্যবসায়ীরাও এই প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন।

কুয়ালালামপুরের একজন হোটেল ম্যানেজার জানান, ‘চীন ও ভারতের ভিসা-মুক্ত পর্যটকরা আসায় আমাদের বুকিং বেড়েছে। এতে হোটেল ব্যবসায় নতুন গতি এসেছে।’

একটি স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সির পরিচালক বলেন, ‘এয়ারএশিয়ার নতুন রুট আর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দীর্ঘ রুট চালুর ফলে ইউরোপীয় যাত্রীও বাড়ছে। ফলে ট্যুর প্যাকেজ বিক্রি অনেক সহজ হচ্ছে।’

বিশ্লেষকদের মতে, যাত্রী বৃদ্ধির মূল কারণ হলো বিমান সংস্থার সম্প্রসারণ এবং ভিসা নীতির পরিবর্তন। গত বছর যেখানে ৫৯টি এয়ারলাইন কেএলআইএ ব্যবহার করত, এ বছর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬-তে। চীন ও ভারতের ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকারও যাত্রী বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এন্ডাউ অ্যানালিটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা শুকর ইউসুফ বলেন, ‘আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার মধ্যেও কেএলআইএ-র উন্নতি প্রমাণ করছে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।’

কেএলআইএ-র এই সাফল্য শুধু বিমান খাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পর্যটন শিল্প ও জাতীয় অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য, ব্যবসায়ীদের আস্থা ও বৈশ্বিক এয়ারলাইন সম্প্রসারণ একত্রে কেএলআইএ-কে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আকাশে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।