ছবি: তাসনিম আক্তার আলিফ নাবিলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়লাভ করেছেন নবীগঞ্জের তাসনিম আক্তার আলিফ নাবিলা। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরগাঁও গ্রামের মরহুম মো. আক্তার মিয়ার কন্যা নাবিলা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯- ২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
তিনি নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম তালুকদারের চাচাতো বোন।
নাবিলার এই অর্জনকে স্থানীয়রা শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জবাসীর জন্য গর্বের বিষয় হিসেবে দেখছেন।
দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে নবীগঞ্জের একজন শিক্ষার্থী নেতৃত্বের আসনে পৌঁছানোয় এলাকায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষানুরাগীরা নাবিলাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে নবীগঞ্জের মেয়ে জায়গা করে নেওয়া নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা। এ অর্জন নবীগঞ্জের তরুণ সমাজকে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
বিজয়ের পর অনুভূতি প্রকাশ করে নাবিলা বলেন, ‘১০- ১১ বছর বয়স থেকে লালিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়েই আমি ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারবো। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া ও সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করবো।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এই হলের প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি- আবাসিক কিংবা অনাবাসিক। আমার প্রতিশ্রুতি শুধু কথায় নয়, বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই কাজ করবো। নেতৃত্ব মানে কেবল সমস্যার কথা বলা নয়, বরং সমাধানের পথ দেখানো।’
শেষে শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাবিলা বলেন, ‘আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের এই আস্থা ও ভালোবাসাই আমার শক্তি। এই আস্থা অটুট রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’