ছবি: সংগৃহীত
লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। সপ্তাহে দুই দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছিল তাকে। গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি তখন থেকেই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। গতকাল অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। সংক্রমণ বেড়ে গেছে। জ্ঞানের মাত্রাও অনেক কমে গেছে। কিডনি জটিলতা তো আছেই, সব মিলিয়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ফরিদা পারভীনের স্বামী, যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম বলেন, ‘গত কয়েক মাসে তাকে চারবার আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে। ফুসফুস ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর এতটাই দুর্বল যে হাঁটা বা দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে জনপ্রিয়তা পান। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে তালিম নিয়ে লালনসংগীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে তিনি লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত।