প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:১৬ (সোমবার)
বিচারপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী- নেপালের নেতৃত্বে সুশীলা কার্কি

ছবি: সুশীলা কার্কি

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় রাত ৯টায় প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের উপস্থিতিতে তিনি শপথ নেবেন।

জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনার পর সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তে সবাই একমত হন।

সূত্র জানায়, নেপালের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। তার মন্ত্রিসভার আকার ছোট রাখা হবে এবং শপথের রাতেই তিনি প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন।

ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব আসতে পারে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে জেন-জিরা আন্দোলনে নামে।

সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হন। এতে ক্ষোভে আরও উত্তাল হয় আন্দোলন।

পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন ও পরে গা ঢাকা দেন।

সেদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং রাস্তায় অর্থমন্ত্রীকে মারধরের ঘটনাও ঘটে।

অলির পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

অনেকেই সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করলেও একটি পক্ষ বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে অবদান রাখা প্রকৌশলী কুলমান গিসিংকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানায়।

তবে সব জল্পনা-কল্পনা দূর করে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সুশীলা কার্কি।

সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারক থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান তাকে জনপ্রিয় করে তোলে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে।

ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা সুশীলা এক সাক্ষাৎকারে নেপালে ভারতের সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছিলেন।

তার হাত ধরে নেপালের রাজনীতিতে সূচিত হতে যাচ্ছে নতুন অধ্যায়।