প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:০২ (সোমবার)
শ্রীলংকার সঙ্গে আজ বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত।

এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচে হংকংকে সাত উইকেটে হারালেও বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে টুর্নামেন্টে নামা দলের কাছ থেকে আরও দাপুটে শুরু আশা করেছিলেন সমর্থকেরা। ডেথ-গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের জন্য আজ বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে-প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা।

দুই দলের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বেশ কাছাকাছি। গত এক দশকে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম রানরেটে খেলছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ছিল অষ্টম আর শ্রীলংকা দশম স্থানে। এরপর পাল্টে যায় অবস্থান-২০২০ সাল থেকে শ্রীলংকা অষ্টম এবং বাংলাদেশ দশম স্থানে। ২০২৪ সালের শুরুতে শ্রীলংকা অষ্টম ও বাংলাদেশ নবম স্থানে অবস্থান করছে, তাদের উপরে রয়েছে আফগানিস্তান। ফলে তিন দলের শক্তিমত্তা প্রায় সমান। তাই একই গ্রুপে পড়ায় প্রতিটি ম্যাচই হয়ে উঠছে সমানে সমান লড়াই।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবশেষ ১০ মুখোমুখিতে দুদলই জিতেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। তবে সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয় পেয়ে কিছুটা এগিয়ে বাংলাদেশ। নিদাহাস ট্রফি থেকে শুরু করে ২০২৩ বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক-প্রতিবারই বাংলাদেশ-শ্রীলংকা লড়াই বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

প্রস্তুতি নিয়েও দুই দলের অবস্থান প্রায় একই। বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে আসে, শ্রীলংকা খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশ দলের পেসার তানজিম হাসান জানালেন, জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না তাঁরা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা শ্রীলংকার বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তাদের ভালোভাবেই চিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব, তাদের সেরা খেলোয়াড়দের আটকানোর চেষ্টা করব। লক্ষ্য একটাই-জয়।’

অন্যদিকে হংকং ম্যাচে রক্ষণাত্মক মানসিকতার জন্য সমালোচনায় পড়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় লিটন দাস। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটাররা সময় নেন। লিটনের ব্যাটে সহজ জয় এলেও ১৪৪ রান তুলতে লেগে যায় ১৭.৪ ওভার। দুই ওপেনার তানজিদ ও পারভেজ ছন্দ খুঁজে পাননি। তাওহিদ হৃদয় করেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রান। বোলিংয়েও খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তাসকিন দেন ৩৮ রান, মোস্তাফিজ উইকেটশূন্য থাকলেও কৃপণ বোলিং করেছেন।

সব মিলিয়ে হংকং ম্যাচে বাংলাদেশ চেনা ছন্দে ছিল না। তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামলেই দল আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়। এবারও তাই প্রতীক্ষা-বাংলাদেশ যেন সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে।