প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৩ (সোমবার)
কীন ব্রীজে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু, তদারকি করছেন জেলা  প্রশাসক ও  সাবেক মেয়র

ছবি: সংগৃহীত।

সিলেটের কীন ব্রীজ এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত হকারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান সরাসরি তদারকি করছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজ ও আশেপাশের সড়কে হকারদের উপস্থিতি পরিবহণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করছিল। যানবাহনের চলাচলে অসুবিধা ও সাধারণ জনজীবনে সমস্যা তৈরি হওয়ায় এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।

আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘কীন ব্রীজকে যানজটমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই এ এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হোক।’

সিলেটের জেলা  প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম জানিয়েছেন এর সুফল সবাই পাবেন, ১৫ দিনের মধ্যে হকারদের পুনর্বাসন করা হবে, উচ্ছেদ অভিযানকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জানান, কীন ব্রীজ থেকে হকার উচ্ছেদ করা হবে এবং ব্রীজে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে। খবরটি প্রকাশের পর দক্ষিণ সুরমার ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমাবাসী জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করে ব্রীজে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানান। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কীন ব্রীজ সুরমার দুই তীরের জনগণের জন্য যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ। ব্রীজে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হবেন।

স্মারকলিপি গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক স্থানীয় রাজনৈতিক ও পরিবহণ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সভায় সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পরিবহণ নেতৃবৃন্দ কীন ব্রীজে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের প্রস্তাব বাতিলের জন্য অনুরোধ জানান। বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এ দাবিকে সমর্থন করেন।

এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম কীন ব্রীজে মোটরসাইকেল চলাচল আপাতত বন্ধ না করার ঘোষণা দেন।